Cauliflower Production Technology (সংক্ষেপে ফুলকপির উৎপাদন প্রযুক্তি ও বালাই ব্যবস্থাপনা)
লেদা পোকা আক্রান্ত কপি |
ফুলকপির উৎপাদন প্রযুক্তি ও বালাই ব্যবস্থাপনাঃ
চারা উৎপাদনের সময় আগাম: মধ্য আগস্ট, মাঝারী: মধ্য সেপ্টেম্বর, নাবী: মধ্য অক্টোবর
রোপণ দূরত্বঃ ৬০x৪৫ সেমি
চারা বয়স ৩০-৩৫ দিন বয়সের চারা
সার প্রয়োগ (বিঘা প্রতি): ১ বিঘা= ৩৩ শতাংশ
গোবর:২ টন, ইউরিয়া:৩৩-৪০ কেজি, টিএসপি:২০-২৬ কেজি, এমওপি: ২৬-৩৩ কেজি, ফুরাডান ৫জি: ৪কেজি, মুক্তাপ্লাস:১-১.৫ কেজি, ম্যাগপ্লাস: ২-৩ কেজি, সয়েল জিপ: ৫কেজি
জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর, সমুদয় টিএসপি, ফুরাডান ৫জি,ম্যাগপ্লাস ও অর্ধেক এমওপি সার প্রযোগ করতে হবে। মুক্তাপ্লাস ও বাকি অর্ধেক গোবর চারা রোপণের ১ সপ্তাহ পূর্বে মাদায় দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া ও বাকি অর্ধেক এমওপি সার ২ কিস্তিতে চারা লগানোর ১৫ দিন পর ও ৩০-৫০ দিন পর প্রয়োগ করতে হবে।
পোকা-মাকড় ব্যবস্থাপনাঃ
এদেশে ফুলকপির সবচে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। নাবী করে লাগালে সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ বেশি ক্ষতি করে। বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করলে পুষ্পমঞ্জরীকে জাব পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। অন্যান্য পোকার মধ্যে ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে।
দমন ব্যবস্থাঃ
- মাথা খেকো লেদা পোকা, সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ দমনের জন্য ইন্ট্রাপিড ১০এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০২মিলি
- কাটুই পোকা: সুপারফাস্ট ৫৫ইসি ০২মিলি/লিটার
- জাব পোকাঃ হেমিডর ৭০ডব্লিউজি ০২গ্রাম/১০লিটার পানি অথবা ০৩গ্রাম/১৬লিটার পানি বা নোভাস্টার ৫৬ইসি ০২ মিলি/লিটার
- ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকাঃ রিপকর্ড ১০ইসি অথবা সুপারফাস্ট ৫৫ইসি ০১মিলি/লিটার
- সাদা মাছিঃ নোভাস্টার ৫৬ইসি ০২মিলি/লিটার
রোগ ব্যবস্থাপনাঃ
দমন ব্যবস্থাঃ
- চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ (ঢলে পড়া): ডিফেন্স ৩৫ এসসি ০১মিলি/লিটার স্প্রে করতে হবে।
- পাতায় দাগ,আগা পোড়া ও কালো পঁচা রোগঃ- হেডলাইন টিম ২.৫গ্রাম/লিটার অথবা একরোবেট এমজেড ০৪গ্রাম/লিটার এবং ডিফেন্স ৩৫এসসি ০১মিলি/লিটার দিয়ে পর্যায়ক্রমে স্প্রে করতে হবে।
- বোরনের অভাবে ফুলে বাদামী দাগ পড়ে ও কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়: ফলিয়ারেল বোরন দিয়ে স্প্রে করতে হবে।
- ফুলকপির ফুল রোদে উন্মোচিত হলে তার বর্ণ হলুদাভ হয়ে যায়৷ এতে স্বাদ কমে না কিন্তু আকর্ষণীয়তা কমে যায়৷ ফুলকপির রং ধবধবে সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থা থেকে চারপাশের কয়েকটি পাতা বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হয়।