Onion Cultivation (আধুনিক পেঁয়াজ চাষ প্রযুক্তি)
আধুনিক পেঁয়াজ চাষ প্রযুক্তিঃ
পুষ্টিগুনঃ
এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও সামান্য ভিটামিন ‘সি’ আছে।
১) উত্তেজক হিসেবে কাজ করে
২) প্রস্রাবের বেগ বাড়ায়
৩) শ্বাসনালীর মিউকাস কমায়
৪) ঋতুস্রাব বাড়ায়
৫) হজমি নালার জ্বালা কমায়
৬) রক্ত পরিশোধন করে
৭) এ্যাজমা ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
৮) পোকার কামড়ে বিশুদ্ধ মধুসহ প্রলেপ দিলে জ্বালা কমায়
৯) কাঁচা পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
২) প্রস্রাবের বেগ বাড়ায়
৩) শ্বাসনালীর মিউকাস কমায়
৪) ঋতুস্রাব বাড়ায়
৫) হজমি নালার জ্বালা কমায়
৬) রক্ত পরিশোধন করে
৭) এ্যাজমা ও কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়
৮) পোকার কামড়ে বিশুদ্ধ মধুসহ প্রলেপ দিলে জ্বালা কমায়
৯) কাঁচা পেঁয়াজের রস চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক।
ব্যবহারঃ
উৎপাদন প্রযুক্তিঃ
তরকারীতে মসলা হিসেবে ব্যবহার ছাড়াও বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরিতে পেঁয়াজের ব্যবহার রয়েছে।
উপযুক্ত জমি ও মাটিঃ উর্বর বেলে-দো-আঁশ মাটি পেঁয়াজ চাষের জন্য অতি উত্তম। বর্ষায় পেঁয়াজ চাষের জন্য উঁচু জমি দরকার যেখানে বৃষ্টির পানি জমেনা। জমিতে সেচ ও পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
জাত পরিচিতিঃ
বারি পেঁয়াজ-১,২,৩,৪,৫. তাহেরপুরী প্রভৃতি উন্নত জাত।
বারি পেঁয়াজ-১,২,৩,৪,৫. তাহেরপুরী প্রভৃতি উন্নত জাত।
চারা তৈরিঃ
পেঁয়াজ রবি ও খরিপ মৌসুমে চাষ করা যায়। খরিপ মৌসুমে চাষের জন্য জুন-জুলাই (আষাঢ়-শ্রাবণ) ও রবি মৌসুমে চাষের জন্য অক্টোবর-নভেম্বর (আশ্বিন-কার্তিক) মাসে বীজ তলায় বীজ বপন করতে হয়। জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালভাবে চাষও মই দিয়ে ৩x১ মিটার আকারের বীজতলা করে এক সপ্তাহ রাখা হয়। বীজ বপনের পূর্বে আগের দিন সন্ধ্যায় বীজ ভিজিয়ে রেখে পরের দিন তুলে ১ ঘন্টা রৌদ্রে শুকিয়ে তারপর বীজতলায় বপন করতে হবে। বীজ বপনের পর ঝুরঝুরে মাটি দিয়ে বীজ ঢেকে দিতে হবে। বীজ বপনের পরদিন বেডে ছায়ার ব্যবস্থা করতে হবে। দিনের বেলা বীজতলা ঢেকে রাখতে হবে এবং রাত্রে খোলা রাখতে হবে। প্রয়োজনে ঝরনা দিয়ে পানি দিতে হবে।
--------------------------------------------------------
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ এর রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা
---------------------------------------------------------
আরও পড়ুনঃ পেঁয়াজ এর রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা
---------------------------------------------------------
চারা রোপনঃ
৫ টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করা হয়। ১৫ ও ১০ সে.মি. দূরত্বে চারা রোপন করা হয়। বর্ষার সময় ১ মিটার চওড়া ও ১৫ সে.মি. উঁচু বেড তৈরি করে চারা রোপণ করা হয়। দুই বেডের মাঝে ৩০ সে.মি. চওড়া পানি নিকাশের নালা রাখা হয়। ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা লাগানোর উপযোগী হয়।
সার ব্যবস্থাপনাঃ
সেচঃ
পেঁয়াজের জমিতে প্রতি হেক্টরে গোবর ৮-১০ টন, ইউরিয়া ২৫০-২৭০ কেজি, টিএসপি ১৯০-২০ কেজি এবং ১৫০-১৭০ কেজি এমওপি, ১২-১৫ কেজি মুক্তাপ্লাস, ২৫-৩০ কেজি ম্যাগপ্লাস সার প্রয়োগ করা হয়। জমি তৈরির সময় ১৬০-১৭০ কেজি ইউরিয়া ও বাকী সমুদয় সার মাটিতে মেশাতে হয়। চারা রোপনের ২০ দিন পর বাকী ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করা হয়।
সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা জমিতে রসের অভাব থাকলে সেচ দিতে হবে। বর্ষা মৌসুমে যাতে বৃষ্টির পানি দাঁড়াতে না পারে সেজন্য নিকাশ নালা রাখতে হবে। জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে। সেচের পর জমি নিড়ানি দিয়ে আলগা করে দিতে হবে। পেঁয়াজের কন্দ উৎপাদনের ক্ষেত্রে ফুলের কুঁড়ি দেখামাত্র ভেঙ্গে দিতে হবে।
ফসল সংগ্রহঃ
রবি মৌসুমে পেঁয়াজের পাতা মরে গেলে (গলা চিকন হলে) গাছ সমেত পেঁয়াজ তুলে এনে পাতা শুকিয়ে মরা পাতা কেটে সংরক্ষণ করা হয়। প্রতি হেক্টরে ফলন রবিতে ১২-১৬ টন ও খরিপ ১০-১২ টন।
No comments