Control of Sheath blight of Rice (ধানের খোলপোড়া রোগ ব্যবস্থাপনা)
ধানের খোলপোড়া রোগ কারন, লক্ষণ ও দমন
রোগ জীবাণু- Rhizoctonia solani
রোগের লক্ষণ
এ রোগে প্রাথমিক অবস্থায় পানির উপরিভাগে খোলের উপর পানি ভেজা হালকা সবুজ রঙের দাগ পড়ে। ডিম্বাকৃতি বা বর্তুলাকার এ সব দাগ প্রায় ১ সেন্টিমিটার লম্বা হয় এবং বড় হয়ে দাগগুলো ২-৩ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হতে পারে। কয়েকটি দাগ পরে একত্রে মিশে যায়। প্রত্যেকটি দাগের সীমারেখা এবং রঙের বৈচিত্র্য একটা আক্রান্ত এলাকার বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তোলে। তখন আক্রান্ত খোলটার উপর ছোপ ছোপ দাগ মনে হয়। অনুকুল এবং আর্দ্র পরিবেশে আক্রান্ত কান্ডের নিকটবর্তী পাতাগুলোও আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণতঃ ফুল হওয়া থেকে ধান পাকা পর্যন্ত রোগের লক্ষণ স্পষ্ট দেখা যায়। আক্রান্ত জমি মাঝে মাঝে পুড়ে বসে যাওয়ার মত মনে হয় । রোগের প্রকোপ বেশি হলে ধান চিটা হয়ে যায়।
---------------------------------------------------
আরও পড়ুনঃ ধানের ব্লাস্ট রোগের কারন, লক্ষণ ও দমন
---------------------------------------------------
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা
১) রোগ সহনশীল জাত যেমন বিআর১০, বিআর২২, বিআর২৩, ব্রিধান৩১ ও ব্রিধান ৩২ চাষ করা যেতে পারে।
২) পরিস্কার পরিচ্ছন্ন চাষ করা।
৩) লাঙ্গল দিয়ে জমি চাষ করে শুকিয়ে নিয়ে নাড়া জমিতেই পুড়িয়ে ফেলা।
৪) সুষমভাবে ইউরিয়া, টিএসপি এবং পটাশ সার ব্যবহার করা।
৫) অতিরিক্ত ইউরিয়া সার ব্যবহার না করা।
৬) ধানের জাত অনুসারে সঠিক দুরত্বে চারা রোপণ করা (তবে ২৫*২০ সেন্টিমিটার দূরত্বই ভাল)।
৭) রোগ দেখার পর ১৫ দিন অন্তর বিঘা প্রতি ৫ কেজি পটাশ দুই কিস্তিতে দিলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৮) রোগ দেখা দিলে পর্যায়ক্রমে পানি দেয়া ও শুকানো।
দেখুন ভিডিওতে
দমন ব্যবস্থা
চারা রোপনের ৩০-৪০ দিন পর এবং ১০-১৫ দিন পরপর ২ বার (অবস্থাভেদে) কোগার ২৮এসসি (এজক্সিস্ট্রবিন+সিপ্রোকোনাজল) অথবা ডিফেন্স ৩৫এসসি (কার্বেন্ডাজিম+হেক্সাকোনাজল) বা হেকোনাজল/কনটাফ/ওরোজল ৫ইসি (হেক্সাকোনাজল) অথবা এমিস্টার টপ (এজক্সিস্ট্রবিন+ডাইফেনোকোনাজল) বা ফলিকুর (টেবুকোনাজল) ০১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে । তবে আক্রমনের ব্যাপকতা থাকলে ৫-৭ দিন পরপর ৩ বার স্প্রে করা যেতে পারে ।