Hot water treatment of Mango (আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট)
আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট
আম একটি দ্রুত পচনশীল ফল। সংগ্রহ মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা উভয়ই বেশি থাকে বলে আম পচা ত্বরান্বিত হয়। আমাদের দেশে উৎপাদিত মোট আমের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে নষ্ট হয়। প্রধানত বোঁটা পচা ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণে আম নষ্ট হয়। আম সংগ্রহকালীন ভাঙা বা কাটা বোঁটা থেকে কষ বেরিয়ে ফলত্বকে দৃষ্টিকটু দাগ পড়ে । ফলত্বকে নানা রকম রোগজীবাণুও লেগে থাকতে পারে এবং লেগে থাকা কষ রোগ সংক্রমণে সহায়তা করতে পারে। এজন্য আম পরিষ্কার পানি দ্বারা ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঠাণ্ডা পানিতে ধুলে কষ দূর হলেও রোগাক্রমণ খুব একটা নিয়ন্ত্রিত হয় না। সেজন্য আম হালকা গরম পানিতে ধোয়া উচিত। রোগ নিয়ন্ত্রণ, গুণাগুণ রক্ষা, সুষ্ঠুভাবে পাকা ও সংরক্ষণশীলতা বৃদ্ধিতে আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট বেশ কার্যকরী। আবার ঠাণ্ডা বা গরম পানিতে নির্ধারিত মাত্রায় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে ওই মিশ্রণে আম চুবিয়ে রেখেও ধৌতকরণ করা যায় এবং ভালো ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের পরীক্ষায় ‘ফজলি’ আমের ক্ষেত্রে গরম পানিতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে কার্যকরিতা অধিক পাওয়া গেছে। গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, জাতের ওপর নির্ভর করে ৫২ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার গরম পানিতে ৫ মিনিট ধরে আম শোধন করলে বোঁটা পচা রোগ ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগ দমন করা যায়। এভাবে আম নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতি কাজে লাগানোর জন্য গরম পানিতে আম শোধন যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে।
আম একটি দ্রুত পচনশীল ফল। সংগ্রহ মৌসুমে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা উভয়ই বেশি থাকে বলে আম পচা ত্বরান্বিত হয়। আমাদের দেশে উৎপাদিত মোট আমের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সংগ্রহোত্তর পর্যায়ে নষ্ট হয়। প্রধানত বোঁটা পচা ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগের কারণে আম নষ্ট হয়। আম সংগ্রহকালীন ভাঙা বা কাটা বোঁটা থেকে কষ বেরিয়ে ফলত্বকে দৃষ্টিকটু দাগ পড়ে । ফলত্বকে নানা রকম রোগজীবাণুও লেগে থাকতে পারে এবং লেগে থাকা কষ রোগ সংক্রমণে সহায়তা করতে পারে। এজন্য আম পরিষ্কার পানি দ্বারা ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ঠাণ্ডা পানিতে ধুলে কষ দূর হলেও রোগাক্রমণ খুব একটা নিয়ন্ত্রিত হয় না। সেজন্য আম হালকা গরম পানিতে ধোয়া উচিত। রোগ নিয়ন্ত্রণ, গুণাগুণ রক্ষা, সুষ্ঠুভাবে পাকা ও সংরক্ষণশীলতা বৃদ্ধিতে আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট বেশ কার্যকরী। আবার ঠাণ্ডা বা গরম পানিতে নির্ধারিত মাত্রায় সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে ওই মিশ্রণে আম চুবিয়ে রেখেও ধৌতকরণ করা যায় এবং ভালো ফল পাওয়া যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পের পরীক্ষায় ‘ফজলি’ আমের ক্ষেত্রে গরম পানিতে সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইড মিশিয়ে কার্যকরিতা অধিক পাওয়া গেছে। গবেষণাগারে পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, জাতের ওপর নির্ভর করে ৫২ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সে. তাপমাত্রার গরম পানিতে ৫ মিনিট ধরে আম শোধন করলে বোঁটা পচা রোগ ও অ্যানথ্রাকনোজ রোগ দমন করা যায়। এভাবে আম নষ্ট হওয়া প্রতিরোধ করা যায়। বাণিজ্যিকভাবে এ পদ্ধতি কাজে লাগানোর জন্য গরম পানিতে আম শোধন যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে।
যন্ত্রের বৈশিষ্ট্যগুলো
২ কিলোওয়াট ক্ষমতার ৮টি বৈদ্যুতিক ওয়াটার হিটারের মাধ্যমে পানি গরম করা হয়।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করা হয়।
আম ভর্তি প্লাস্টিক ক্রেট বহনের জন্য মটরচালিত কনভেয়ার রোলার ব্যবহার করা হয়।
যন্ত্রটি দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে আম শোধন করা যায়। যন্ত্রটি চালানোর জন্য ছয়জন লোকের প্রয়োজন হয়। এ যন্ত্র দ্বারা আমকে সুষমভাবে ৫২ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে ৫ থেকে ৭ মিনিট ডুবিয়ে শোধন করা হয়।
গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখা আমের গায়ে লেগে থাকা পচনে সাহায্যকারী জীবাণু মারা যায়।
শোধনকৃত আম ৫ থেকে ৬ দিনের পরিবর্তে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে এবং আমের রঙ উজ্জ্বল হয়। যন্ত্রটি দিয়ে ঘণ্টায় ১০০০ কেজি আম শোধন করা যায়।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় প্রতি কেজির শোধন খরচ মাত্র ৫০ পয়সা। যন্ত্রটির বাজার মূল্য ১,৩৫,০০০ টাকা।
হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি : বড় কোনো খোলা মুখওয়ালা পাত্রে পানি রেখে তাপ দিতে হবে। পানির তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ওই পানিতে আম ৫ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি থেকে আম উঠিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে উদ্ভাবিত হট ওয়াটার প্লান্ট ব্যবহার করে উল্লিখিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুষমভাবে একসাথে অনেক আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট করা যায়।
* প্রচারে : কৃষি তথ্য সেবা, সহযোগিতায় : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট
২ কিলোওয়াট ক্ষমতার ৮টি বৈদ্যুতিক ওয়াটার হিটারের মাধ্যমে পানি গরম করা হয়।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ডিজিটাল তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রক ব্যবহার করা হয়।
আম ভর্তি প্লাস্টিক ক্রেট বহনের জন্য মটরচালিত কনভেয়ার রোলার ব্যবহার করা হয়।
যন্ত্রটি দিয়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে আম শোধন করা যায়। যন্ত্রটি চালানোর জন্য ছয়জন লোকের প্রয়োজন হয়। এ যন্ত্র দ্বারা আমকে সুষমভাবে ৫২ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার পানিতে ৫ থেকে ৭ মিনিট ডুবিয়ে শোধন করা হয়।
গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখা আমের গায়ে লেগে থাকা পচনে সাহায্যকারী জীবাণু মারা যায়।
শোধনকৃত আম ৫ থেকে ৬ দিনের পরিবর্তে ১০ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত টাটকা থাকে এবং আমের রঙ উজ্জ্বল হয়। যন্ত্রটি দিয়ে ঘণ্টায় ১০০০ কেজি আম শোধন করা যায়।
উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন হওয়ায় প্রতি কেজির শোধন খরচ মাত্র ৫০ পয়সা। যন্ত্রটির বাজার মূল্য ১,৩৫,০০০ টাকা।
হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট পদ্ধতি : বড় কোনো খোলা মুখওয়ালা পাত্রে পানি রেখে তাপ দিতে হবে। পানির তাপমাত্রা ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে ওই পানিতে আম ৫ মিনিট চুবিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি থেকে আম উঠিয়ে বাতাসে শুকিয়ে নিতে হবে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফার্ম মেশিনারি অ্যান্ড পোস্টহারভেস্ট প্রসেসিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে উদ্ভাবিত হট ওয়াটার প্লান্ট ব্যবহার করে উল্লিখিত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে সুষমভাবে একসাথে অনেক আমের হট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট করা যায়।
* প্রচারে : কৃষি তথ্য সেবা, সহযোগিতায় : বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট