Header Ads

ad728
  • Breaking News

    Brinjal Pest Management (বেগুনের রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনা)

    বেগুনের রোগ-বালাই ব্যবস্থাপনা

    বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা


    বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা- বেগুনের বোঁটার নীচে ছোট ছিদ্র দেখা যায়। কচি ডগা ঢলে পড়ে ও শুকিয়ে যায়। আক্রান্ত ফলের ভিতরটা ফাঁপা ও পোকার বিষ্ঠায় পরিপূর্ণ থাকে।

    বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন ব্যবস্থা

    এই পোকা দমন করা অত্যন্ত দুরুহ কাজ; সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিম্নরূপ:

    ১) নিমবিসিডিন, ৮০ এম এল/একর জমিতে প্রয়োগ করতে হবে।

    ২) আক্রান্ত ডগা ও ফল সংগ্রহ করে মাটিতে পুতে ফেলুন এরপর রিজেন্ট ৫০এসসি (ফিপ্রোনিল) ও হেক্লেম ৫এসজি (এমামেকটিন বেনজয়েট) প্রতি লিটার পানিতে ০১মিলি ও ০১ গ্রাম করে মিশিয়ে স্প্রে করুন;

    ৩) ৩-৪ দিন পর হেক্লেম ৫এসজি ও নোভাস্টার ৫৬ইসি (বাইফ্রেনথ্রিন+এবামেকটিন) বা সায়েটা (এবামেকটিন) ( প্রতি লিটার পানিতে ০১ গ্রাম ও ০২ মিলি) মিশিয়ে স্প্রে করুন;

    ৪) মাঝে মধ্যে মার্শাল ২০ইসি (কার্বোসালফান) বা ট্রেসার ৪৫এসসি (স্পিনোসাড) বা বেল্ট (ফ্লুবেনডিয়ামাইড) দিয়ে স্প্রে করলে পোকার সহনশীলতা গড়ে উঠে না।

    কখনো শুধু রিজেন্ট; শুধু হেক্লেম দিয়ে স্প্রে করুন এতে পোকার সহ্য ক্ষমতা সৃষ্টি হয়না; সফলভাবে দমন করার জন্য ৩-৪ দিন পরপর স্প্রে করুন;

    মনে রাখবেন ফল সংগ্রহ করার পর বিকালে স্প্রে করতে হবে।


    বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুনঃ 

    সাদা মাছি, মাকড় ও জাব পোকা




    সাদা মাছি ও জাব পোকা- পূণবয়স্ক ও নিম্ফ উভয়েই পাতা, কচি কান্ড, ফুল ও ফলের কুঁড়ি, বোঁটা এবং ফলের কচি অংশের রস চুষে খায়। ফলে গাছ প্রথমে দুর্বল ও পরে হলুদ হয়ে যায়। গাছে ফুল ও ফল অবস্থায় আক্রমণ হলে ফুলের কুঁড়ি ও কচি ফল ঝরে পড়ে। আক্রমণের মাত্রা বেশি হলে কচি ডগা মরে যায়।

    সাদা মাছি, মাকড় ও জাব পোকা দমন ব্যবস্থা

    ১. আক্রান্ত পাতা, ডগা, ফুল পোকাসহ সংগ্রহ করে ধ্বংস করা

    ২. আক্রমণ বেশী হলে নোভাস্টার ৫৬ইসি প্রতি লিটার পানিতে ০২মিলি অথবা পিমিডর বা হেমিডর ৭০ডব্লিউজি (ইমিডাক্লোপ্রিড) ০৩গ্রাম/১৫লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।


    বেগুনের ফুল পঁচা ও ফল পঁচা রোগ দমন




    একরোবেট এমজেড (ম্যানকোজেব+ডাইমেথোমরফ্) প্রতি লিটার পানিতে ০৪ গ্রাম অথবা ডিফেন্স ৩৫এসসি (কার্বেন্ডাজিম+ হেক্সাকোনাজল) প্রতি লিটার পানিতে ১.৫০ মিলি অথবা কোগার বা নাভারা বা কারিশমা ২৮এসসি বা স্কোর বা এমিস্টার টপ (প্রতি লিটার পানিতে ০১ মিলি) ৬-৭ দিন পরপর পর্যায়ক্রমে আলাদাভাবে স্প্রে করতে হবে।

    বেগুনের ঢলে পড়া রোগ

    ঢলে পড়া বা নেতিয়ে পড়া রোগ- আক্রান্ত গাছের কচি পাতা প্রথমে ঢলে পড়ে কিংবা নীচের বয়স্ক পাতা বিবর্ণ হয়ে যায়।শিকড়ের মাধ্যমে আক্রমন শুরু হলেও পরে তা কান্ডে ছড়িয়ে পড়ে। রোগের জীবানু মাটি থেকে পানি গ্রহন ও সঞ্চালনে বাধা দেয়, ফলে গাছ ঢলে পড়ে ও শেষে মারা যায়।

    বেগুনের ঢলে পড়া রোগ দমন ব্যবস্থা

    ১. ঢলে পড়া বা নেতিয়ে পড়া রোগ- ঢলে পড়া চারা দেখা মাত্রই তুলে তা ধ্বংস করতে হবে। 

    ২. জমি সব সময় আর্দ্র বা ভিজা না রাখা এবং পানি নিকাশের ব্যবস্থা রাখা।

    ৩. কাসুমিন+ডিফেন্স ৩৫এসসি ০১+০১=০২মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। এছাড়াও একরোবেট এমজেড বা রিডোমিল গোল্ড বা মাইক্রা প্রতি লিটার পানিতে ০৪ গ্রাম হারে মিশিয়ে ভালভাবে স্প্রে করুন।