Header Ads

ad728
  • Breaking News

    Potato Cultivation (আলুর চাষাবাদ প্রযুক্তি)

    আলুর চাষাবাদ প্রযুক্তি


    পুষ্টি উপাদান:
    আলু পুষ্টির দিক দিয়ে ভাত ও গমের সাথে তুল্য। খাদ্য হিসাবে আলু সহজেই হজম হয়। আলুতে যথেষ্ঠ পরিমানে খাদ্য শক্তি রয়েছে। ভিটামিন ও খনিজ লবণও পাওয়া যায়।

    ব্যবহার :
    আলু দিয়ে মিষ্টি, সেমাই, নানা রকম ভর্তাসহ বিভিন্ন মুখরোচক খাবার তৈরি করা যায়। তরকারি হিসাবে খাওয়া ছাড়াও প্রক্রিয়াজাত করে চিপস তৈরি করা যায়। 

    মাটি:
    আলু চাষের জন্য বেলে দোআশ ও দোআঁশ ধরনের মাটি সবচেয়ে উপযোগী।


    জাত পরিচিতি:
    সবচেয়ে জনপ্রিয় জাতগুলো হল: ডায়ামন্ট, কার্ডিনাল, গ্রানোলা, এসটেরিক্স প্রভৃতি।
    এ সমস্ত উচ্চ ফলনশীল জাত ছাড়াও দেশী বিভিন্ন জাত যেমন-লাল পাকড়ি, লাল শীল, চল্লিশা, শিল বিলাতী, দোহাজারী এবং বেসরকারি কোম্পানীর মাধ্যমে আমদানিকৃত বিভিন্ন হাইব্রিড আলু জাতেরও চাষ হয়ে থাকে।


    বীজ রোপণ:
    উত্তরাঞ্চলে মধ্য কার্তিক (নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ), দক্ষিণাঞ্চলে অগ্রহায়ণ ১ম সপ্তাহ থেকে ২য় সপ্তাহ (নভেম্বরের মাসের মধ্য থেকে শেষ সপ্তাহ)। প্রতি একরে বীজের হার প্রায় ৬০০ কেজি। রোপণের দূরত্ব 60x25 সে.মি (আস্ত আলু) এবং 45x15 সে.মি (কাটা আলু)।

    সার ব্যবস্থাপনা:
    সারের নাম সারের পরিমাণ (কেজি/একর)
    ইউরিয়া ১০০ কেজি,  টিএসপি ৬০ কেজি, এমওপি ১০০ কেজি, জিপসাম (সয়েল জীপ) ৫২ কেজি
    জিংক সালফেট (মুক্তাপ্লাস) ৬-৭ কেজি, ম্যাগনেসিয়াম সালফেট (ম্যাগ প্লাস) ৪০ কেজি (অম্লীয় বেলে মাটির জন্য), বোরণ (বেলে মাটির জন্য) ৪ কেজি, গোবর ৪০০০ কেজি।
    গোবর, অর্ধেক ইউরিয়া, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম, ও জিংক সালফেট, (প্রয়োজনবোধে) রোপণের সময় জমিতে মিশিয়ে দিতে হবে। বাকি ইউরিয়া রোপনের ৩০-৩৫ দিন পর অর্থাৎ দ্বিতীয় বার মাটি তোলার সময় প্রয়োগ করতে হবে। অম্লীয় বেলে মাটির জন্য ৪০ কেজি/ একর ম্যাগনেশিয়াম সালফেট এবং বেলে মাটির জন্য বোরণ ৪কেজি/একর প্রয়োগ করলে ভাল ফলন পাওয়া যায়।

    ----------------------------------------------------------------------------------
    আরও পড়ুনঃ  আলুর পোকামাকড় ও রোগ বালাই ব্যবস্থাপনা
    ----------------------------------------------------------------------------------

    সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা:
    বীজ আলু বপনের ২০-২৫ দিনের মধ্যে (স্টোলন বের হওয়ার সময়) প্রথম সেচ দিতে হবে, দ্বিতীয় সেচ বীজ আলু বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে (শুটি বের হওয়া পর্যন্ত) এবং তৃতীয় সেচ আলু বীজ বপনের ৬০- ৬৫ দিনের মধ্যে (শুটির বৃদ্ধি পায়) দিতে হবে। দেশের উত্তরাঞ্চলে বেশি ফলন পেতে হলে ৮-১০ দিন পর সেচ দেওয়া প্রয়োজন ।

    এছাড়া আলু রোপণের পূর্বে আগাছা নাশক (পেন্ডিমিথালিন) প্রয়োগ করলে আগাছা সহজেই দমন করা যায়।
    ফলন: 
    ২৫-৩৫ টন/হেক্টর



    No comments