Header Ads

ad728
  • Breaking News

    Guava Pest Management (পেয়ারার পোকা-মাকড় ও দমন ব্যবস্থা)



    পেয়ারার পোকা-মাকড় ও দমন ব্যবস্থা

    ফল ছিদ্রকারী পোকাঃ 
    ফল ছিদ্রকারী পোকা কচি নরম গুটিতে ভিতরে ঢুকে পড়ে। এরপর ভিতরে খেয়ে নষ্ট করে। এটা ব্যাগিং করে দমন করা যায় না। এজন্য ফুল আসলে ও গুটি মটরদানার সমান হলে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়। এ পোকা পেয়ারা ছোট থাকা অবস্থায় ছিদ্র করে ভিতরে ঢুকে ও ফলের ক্ষতিসাধন করে। ক্ষতিগ্রস্ত ফল অল্পদিনের মধ্যেই ঝরে যায়। পাহাড়ী এলাকায় এ পোকার আক্রমণ বেশী দেখা যায়।

    ফল ছিদ্রকারী পোকা দমন
    আক্রান্ত ফল পোকাসহ সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ১ গ্রাম হেক্লেম/প্রোক্লেম ৫এসজি বা ১ মি.লি. রিজেন্ট ৫০ এসসি মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ফল ছোট অবস্থায় স্প্রে করতে হবে। ফলের মার্বেল অবস্থায় ছিদ্রযুক্ত পলিব্যাগ বা বাদামী কাগজের ঠুঙ্গাদ্বারা ফল ঢেকে দিতে হবে।


    সাদা মাছিঃ 
    সাধারণত শীতকালে এদের আক্রমণে পাতায় সাদা সাদা তুলার মত দাগ দেখা যায়। এরা পাতার রস শুষে গাছকে দুর্বল করে। রস শোষণের সময় পাতায় মধু সদৃশ বিষ্ঠা ত্যাগ করে যার উপর শুটিমোল্ড নামক ছত্রাক জন্মে। এতে পাতার খাদ্য উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পায়। 

    সাদা মাছি দমন
    আক্রান্ত পাতা ও ডগা ছাঁটাই করে ধ্বংস করতে হবে। প্রতি লিটার পানিতে ৫ গ্রাম সাবান বা ২ মি.লি. নোভাস্টার ৫৬ ইসি বা ০.৫ মিলি এডমায়ার বা ইমিটাফ বা গেইন মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। 

    ফলের মাছি পোকাঃ 
    ফল পরিপক্ক হতে শুরু করলে স্ত্রী মাছি পোকা ফলের খোসার নীচে ডিম পাড়ে। ডিম ফুটে কীড়া বা ম্যাগট বের হয়ে ফলের শাঁস খেয়ে নষ্ট করে ফেলে এবং ফল পচে যায়। এ পোকা ফল বড় হলে মা মাছি পোকা ডিম পাড়ে। পাকার আগে খোসা নরম হতে থাকলে বাচ্চা ভিতরে ঢুকে। এরপর ভিতরে খেয়ে ফেলে। এদের ব্যাগিং করে দমন করা যায়।


    ফলের মাছি পোকা দমন 
    আক্রান্ত ফল সংগ্রহ করে ধ্বংস করতে হবে। ফল ছোট অবস্থায় ব্যাগিং করে ফলের মাছি পোকা দমন করা যায়। এছাড়া মিথাইল ইউজেনলযুক্ত সেক্স ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করে এ পাকার আক্রমণ রোধ করা যায়। 

    চেফার বিটলঃ 
    এটি বিট্ল জাতীয় পোকা। বর্ষা মৌসুমে এ পোকার আক্রমণ বেশী হয়। এ পোকা পেয়ারার পাতা ছিদ্র করে খেয়ে ঝাঝরা করে দেয়। 

    চেফার বিটল দমন
    সুমিআলফা/সুমিথিয়ন বা ইন্ট্রাপিড ১০ এসসি প্রতি লিটার পানিতে ২ মিলি লিটার হারে মিশিয়ে গাছের পাতায় প্রতি ১০ দিন অন্তর দু’বার স্প্রে করতে হবে। এছাড়া গাছের আশে পাশের আগাছা পরিস্কার করতে হবে এবং ক্লোরপাইরিফস জাতীয় কীটনাশক প্রতি লিটার পানিতে ৩ মিলি হারে মিশিয়ে মাটিতে প্রয়োগ করতে হবে। 

    মিলিবাগঃ 
    সাদা সাদা মিলিবাগ কচি বিটপ ও ফল আক্রমণ করে। আক্রান্ত পাতায় ও ডালে তুলার মতো সাদা পদার্থ দেখা যায়। পোকা কর্তৃক নিঃসৃত মধু রসে শুটিমোল্ড জন্মে ও পাতা কাল বর্ণ ধারণ করে। 

    মিলিবাগ দমন 
    ব্রাশ দ্বারা সাদা বস্ত্ত সরিয়ে ২ মি.লি. নোভাস্টার ৫৬ ইসি বা ০.৫ মিলি এডমায়ার বা ইমিটাফ বা গেইন প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে ১০ দিন অন্তর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে। গুড়া সাবান (হুইল/জেট পাউডার) পানিতে (৫গ্রাম/লি.) মিশিয়ে স্প্রে করেও এ পোকা দমন করা যায়। 



    No comments