Header Ads

ad728
  • Breaking News

    Guava Disease Management (পেয়ারার রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থা)


    পেয়ারার রোগবালাই ও দমন ব্যবস্থা

    এ্যানথ্রাকনোজঃ 
    এ্যানথ্রাকনোজ একটি ছত্রাক জনিত রোগ। গাছের পাতা, কান্ড, শাখা ও ফল এ রোগ দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগ হলে ফলের গায়ে ছোট ছোট বাদামী দাগ পড়ে। তাছাড়া ফল শক্ত, ছোট ও বিকৃত আকারের হতে পারে। ফল পাকা শুরু হলে দাগ দ্রুত বিস্তার লাভ করে এবং ফলটি ফেটে বা পঁচে যায়। আক্রান্ত পাতায় মরিচা পড়ার মত দাগ দেখা যায়। কচি ডাল আক্রান্ত হলে তাতে বাদামী দাগ পড়ে এবং ডালটি মারা যায়। বর্ষাকালেই এ রোগের প্রাদুর্ভাব বেশী দেখা যায়। গাছের পরিত্যক্ত শাখা প্রশাখা, ফল ও পাতায় এ রোগের জীবানু বেঁচে থাকে। বাতাস ও বৃষ্টির মাধ্যমে এ্যানথ্রাকনোজ রোগ ছড়ায়। 



    এ্যানথ্রাকনোজ প্রতিকারঃ 
    গাছের নিচে ঝরে পড়া পাতা ও ফল সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে। গাছে ফল মার্বেল সাইজ হওয়ার পর থেকে নোইন/অটোস্টিন অথবা পিডিয়ন বা রোভরাল বা একরোবেট এমজেড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম নোইন ৫০ ডব্লিউপি অথবা টিল্ট ২৫০ ইসি বা কোগার ২৮ এসসি বা নাভারা বা কারিশমা প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মি.লি. অথবা ডিফেন্স ৩৫ এসসি ০১ মিলি হারে মিশিয়ে ১৫ দিন অন্তর ৩-৪ বার ভালভাবে স্প্রে করে এ রোগ দমন করা যায়।

    ফিউজারিয়াম উইল্ট বা ঢলে পড়া রোগঃ 
    ফিউজেরিয়াম নামক ছত্রাকের আক্রমণে এ সমস্যা হয়। প্রথমে পাতা হলুদ হয়ে আসে এবং পরে শুকিয়ে যায়। এভাবে পাতার পর প্রশাখা-শাখা এবং ধীরে ধীরে সমস্ত গাছই ৮-১০ দিনের মধ্যে নেতিয়ে পড়ে ও মারা যায়। 

    ফিউজারিয়াম উইল্ট বা ঢলে পড়া রোগ প্রতিকারঃ 
    এ রোগের কোন প্রতিকার নেই। তাই একে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করতে হবে।মাঠে/বাগানে পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা করতে হবে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন আদিজোড় যেমন পলিপেয়ারার সাথে কলম করে এ রোগের আক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়।বাগানের মাটিতে অম্লত্বের পরিমাণ কমানোর জন্য চুন প্রয়োগ করতে হবে। 



    শুটিমোল্ডঃ 
    শীতের সময় সাদামাছি পোকা ও মিলিবাগ এর আক্রমণের ফলে পেয়ারা গাছের পাতা ছাই সদৃশ পদার্থ দ্বারা আবৃত হয়ে যায়। এটি শুটিমোল্ড নামক ছত্রাক দ্বারা হয়ে থাকে। আক্রান্ত পাতা ঝরে পড়ে ও গাছ দুর্বল হয়ে যায়। 

    শুটিমোল্ড প্রতিকারঃ 
    সাদা মাছি পোকা ও মিলিবাগ দমন করতে হবে। নোইন/অটোস্টিন অথবা পিডিয়ন বা রোভরাল বা একরোবেট এমজেড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম নোইন ৫০ ডব্লিউপি অথবা টিল্ট ২৫০ ইসি বা কোগার ২৮ এসসি বা নাভারা বা কারিশমা প্রতি লিটার পানিতে ০.৫ মি.লি. অথবা ডিফেন্স ৩৫ এসসি ০১ মিলি হারে মিশিয়ে ৮-১০ দিন পর পর ২-৩ বার স্প্রে করতে হবে।


    No comments