Banana Pest Management (কলার পোকা-মাকড় ও দমন ব্যবস্থা)
কলার পোকা-মাকড় ও দমন ব্যবস্থা
কলার বিটল পোকার আক্রমণে ক্ষতির লক্ষণ
১। বিটল পোকার কীড়া এবং পূর্ণ বয়স্ক পোকা উভয়ই কলাগাছের ক্ষতি করে।
২। এই পোকার আক্রমণে পূর্ণবয়স্ক পোকা প্রথমে কলা গাছের কচি হলুদ পাতা কুরে কুরে খায়। যার ফলে কলা গাছের কচি পাতাতে কালো দাগ পড়ে।
৩। এছাড়াও পরবর্তীতে কলা গাছের পাতা বড় হলে দাগও বড় হয়। ফলে পোকা আক্রান্ত গাছের খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়া ব্যহত হয়।
৪। পূর্ণাঙ্গ বিটল পোকা কচি কলার সবুজ অংশ চেঁছে খেয়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাগ তৈরি করে।
৫। কলা বড় হওয়ার সাথে সাথে উক্ত তৈরি করা দাগগুলি আকারে বড় হয়। পরবর্তীতে এই দাগ কালচে বাদামী রঙ ধারণ করে।
৬। আক্রান্ত গাছের দাগযুক্ত কলা বসন্ত রোগের মত দেখায়।
৭। বিটল পোকার আক্রমণ বেশি হলে আক্রান্ত ফল আকারে ছোট মনে হয় এবং ফলন কমে যায়।
কলার বিটল পোকার আক্রমণের প্রতিকার
১। প্রয়োজনে মুড়ি ফসল চাষ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কলার বাগান সর্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।
২। আক্রান্ত ক্ষেতের গাছের মরা পাতা এবং অন্যান্য আগাছা একত্র করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
৩। কলা বাগানে আঠাযুক্ত বোর্ড স্থাপন করতে হবে।
৪ কলা বাগানে আলোর ফাঁদ স্থাপন করতে হবে।
৫। কলার মোচা বের হওয়ার সাথে সাথে দুই মুখ খোলা ছিদ্র বিশিষ্ট পলিথিন ব্যাগ দিয়ে কলার মোচা ঢেকে দিতে হবে।
৬। এরপর কলার কাদি সম্পূর্ণ বের হবার এক মাস পর উক্ত পলিথিন খুলে দিতে হবে।
৭। গাছে কাঁদি আসার আগ পর্যন্ত কচি পাতার গোড়ায় বিটল পোকা লুকিয়ে থাকে। ম্যালাথিয়ন অথবা নগস ভালভাবে স্প্রে করে এ পোকা দমন করা যায়।
৮। এ পোকা কার্বাইল গ্রুপের যেমন সেভিন ১.৫ গ্রাম প্রতি ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে মোচা বের হওয়ার সাথে সাথে একবার কাদির প্রথম কলা বের হওয়ার পর একবার এবং সম্পূর্ণ কলা বের হওয়ার পর আরও একবার মোট ৩ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।
৯। আক্রমণের তীব্রতা বেশি হলে আইসোপ্রোকার্ব গ্রুপের (যেমন মিপসিন ৭৫ ডব্লিউপি ০২ গ্রাম/ লিটার) অথবা প্রতি লিটার পানিতে ০২ গ্রাম একতারা ২৫ ডব্লিউজি কীটনাশক পানিতে মিশিয়ে ভালভাবে গাছ ভিজিয়ে স্প্রে করতে হবে।
এছাড়া রাইজোম উইভিল, থ্রিপস পোকার আক্রোমণ হতে পারে। এসব পোকা দমনের জন্য ইন্ট্রাপিড ১০এসসি ০২মিলি/লিটার বা স্টারগেট ৪৮এসসি ০.৫মিলি/লিটার লিটার বা অটোমিডা ০১গ্রাম/লিটার পানির সাথে মিশিয়ে ১৫ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে।
No comments