Header Ads

ad728
  • Breaking News

    Cauliflower Production ! ফুলকপি উৎপাদন প্রযুক্তি ও রোগ-বালাই দমন ব্যবস্থা

    ফুলকপি উৎপাদন প্রযুক্তি ও রোগ-বালাই দমন ব্যবস্থাঃ

    ফুলকপি

    শীতের এক প্রধান জনপ্রিয় সবজি হল ফুলকপি। তরকারি বা কারি ও স্যুপ তৈরি করে, বড়া ভেজে ফুলকপি খাওয়া হয়। তবে শীতের সবজি হলেও ফুলকপি এখন গ্রীষ্মকালেও উৎপাদিত হচ্ছে।

    পুষ্টি মূল্য ও ব্যবহার

    ফুলকপিতে যথেষ্ট পরিমাণে সালফার, পটাশিয়াম ও ফসফরাস খনিজ উপাদান আছে। এ ছাড়াএর প্রতি ১০০ গ্রাম ভক্ষণযোগ্য অংশে আছে পানি ৯০.৮ গ্রাম, আমিষ ২.৬ গ্রাম, চর্বি ০.৪ গ্রাম, শ্বেতসার ৪.০ গ্রাম, খনিজ লবণ ১.৯ গ্রাম ইত্যাদি।

    উপযুক্ত জমি ও মাটি
    ফুলকপি চাষের জন্য সুনিষ্কাশন সুবিধাযুক্ত উর্বর দো্আঁশ ও এটেল মাটি সবচেয়ে ভাল।

    জাত পরিচিতি
    এ দেশে এখন ফুলকপির পঞ্চাশটিরও বেশি জাত পাওয়া যাচ্ছে। শীতকালেই আগাম, মধ্যম ও নাবী মৌসুমে বিভিন্ন জাতের ফুলকপি আবাদ করা যায়। এ ছাড়া গ্রীষ্মকালে চাষের উপযোগী জাতও আছে। নিচে মৌসুমওয়ারী কয়েকটি উল্লেখযোগ্য জাতের নাম দেয়া হলোঃ-

    সময়ঃ আগাম
    জাতের নামঃ অগ্রহায়নী, আর্লি পাটনা, আর্লি স্নোবল, সুপার স্নোবল, ট্রপিক্যাল স্নো ৫৫, সামার ডায়মন্ড এফ১, ম্যাজিক স্নো৫০দিন এফ১, হোয়াইট বিউটি, কে এস ৬০, আর্লি বোনাস, হিট মাস্টার, ক্যামেলিয়া, আর্লি মার্কেট এফ১, স্পেশাল ৪৫ এফ১, স্নো কুইন এফ১
    বীজ বপনের সময়ঃ শ্রাবণ- ভাদ্র

    সময়ঃ মধ্যম

    জাতের নামঃ বারি ফুলকপি ১ (রূপা), চম্পাবতী ৬০দিন, চন্দ্রমুখী, পৌষালী, রাক্ষুসী, স্নোবল এক্স, স্নোবল ওয়াই, হোয়াইট টপ, স্নো ওয়েভ, মোনালিসা এফ১, ম্যাজিক ৭০ এফ১, বিগটপ, চন্দ্রিমা ৬০ এফ১

    বীজ বপনের সময়ঃ ভাদ্র- আশ্বিন

    সময়ঃ নাবি

    জাতের নামঃ মাঘী বেনারসী, ইউনিক স্নোবল, হোয়াইট মাউন্টেন, এরফার্ট, বীজ বপনের সময়ঃ আশ্বিন-কার্তিক
    গ্রীষ্মকালীনঃ ম্যাজিক বল ৪৫দিন এফ ১, স্নো হোয়াইট, রেইন মাষ্টার, স্নো গ্রেইস 

    বীজ বপনের সময়ঃ ফাল্গুন-আষাঢ়

    -----------------------------------------------------------------
    ----------------------------------------------------------------
    বীজের হার
    জমির পরিমাণ বীজের পরিমাণ
    ১ হেক্টর ৩০০-৩৫০ গ্রাম

    চারা তৈরি
    ফুলকপির চারা বীজতলায় উৎপাদন করে জমিতে লাগানো হয়। বীজতলার আকার ১ মিটার পাশে ও লম্বায় ৩ মিটার হওয়া উচিত। সমপরিমাণ বালি, মাটি ও জৈবসার মিশিয়ে ঝুরাঝুরা করে বীজতলা তৈরি করতে হয়। দ্বিতীয় বীজতলায় চারা রোপণের আগে ৭/৮ দিন পূর্বে প্রতি বীজতলায় ১০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০ গ্রাম টিএসপি ও ১০০ গ্রাম এমওপি সার ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। পরে চারা ঠিকমত না বাড়লে প্রতি বীজতলায় প্রায় ১০০ গ্রাম পরিমাণ ইউরিয়া সার ছিটিয়ে দেয়া ভাল।

    চারা রোপণ

    বীজ গজানোর ১০-১২ দিন পর গজানো চারা দ্বিতীয় বীজতলায় স্থানান্তর করতে হয়। চারায় ৫-৬টি পাতা হলেই তা রোপণের উপযুক্ত হয়। সাধারণত ৩০-৩৫ দিন বয়সের চারা রোণ করা হয়। সারি থেকে সারির দূরত্ব দেয়া লাগে ৬০ সেন্টিমিটার বা ২ ফুট এবং প্রতি সারিতে চারা থেকে চারার দূরত্ব দিতে হবে ৪৫ সেন্টিমিটার বা দেড় ফুট। চারা রোপণের সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন শিকড় মুচড়ে বা বেঁকে না যায়। এতে চারার মাটিতে প্রতিষ্ঠা পেতে দেরী হয় ও বৃদ্ধি কমে যায়।

    সারের মাত্রা

    সারের নাম সারের পরিমাণ (প্রতি বিঘায়) ১ বিঘা= ৩৩ শতাংশ

    গোবর: ২ টন, ইউরিয়া: ৩৩-৪০ কেজি, টিএসপি: ২০-২৬ কেজি, এমওপি: ২৬-৩৩ কেজি, ফুরাডান ৫জি: ৪কেজি, মুক্তাপ্লাস: ১-১.৫ কেজি, ম্যাগপ্লাস: ২-৩ কেজি, সয়েল জিপ: ৫কেজি, বোরণ: ২ কেজি

    সার প্রয়োগ পদ্ধতি

    জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর সার, পুরো টিএসপি, অর্ধেক এমওপি এবং বোরন সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর সার চারা রোপণের ১ সপ্তাহ আগে মাদায় দিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। এরপর চারা রোপণ করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমওপি ও বোরন সার ৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। প্রথম কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৮-১০ দিন পর, দ্বিতীয় কিস্তির সার দিতে হবে চারা রোপণের ৩০ দিন পর এবং শেষ কিসি-র সার দিতে হবে ৫০ দিন পর। তবে পুরো বোরাক্স বা বোরন সার জমি তৈরির সময় দিয়ে দিলেও অসুবিধে নেই। আর সে সময় দিতে না পারলে পরবর্তীতে ১ম ও ২য় কিস্তির সার দেয়ার সময় প্রতি ১০ লিটার পানিতে ১০-১৫ গ্রাম বোরিক পাউডার গুলে পাতায় স্পে করে দেয়া যায়। তবে সকালে শিশির ভেজা পাতায় যেন দানা সার না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

    সেচ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা

    সার দেয়ার পরপরই সেচ দিতে হবে। এছাড়া জমি শুকিয়ে গেলে সেচ দিতে হবে। জমিতে পানি বেশি সময় ধরে যেন জমে না থাকে সেটাও খেয়াল করতে হবে। সার দেয়ার আগে মাটির আস-র ভেঙ্গে দিয়ে নিড়ানী দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে দিতে হবে।

    বিশেষ পরিচর্যা

    ফুলকপি গাছের সারি মাঝে সার দেয়ার পর সারির মাঝখানের মাটি তুলে দুপাশ থেকে গাছের গোড়ায় টেনে দেয়া যায়। এতে সেচ ও নিকাশের সুবিধা হয়। তবে ফুলকপির ফুল সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থায় চারদিক থেকে পাতা টেনে বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হবে। সূর্যের আলো সরাসরি ফুলে পড়লে ফুলের রঙ তথা ফুলকপির রঙ হলুদাভ হয়ে যাবে।

    ফুলকপির পোকা মাকড় ব্যবস্থাপনা

    ফুলকপি ও বাঁধাকপির রোগ ও পোকা মাকড় প্রায় একই কিছু  ব্যতিক্রম ছাড়া।

    মাথা খেকো লেদা পোকা
    এদেশে ফুলকপির সবচে ক্ষতিকর পোকা হল মাথা খেকো লেদা পোকা। নাবী করে লাগালে সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথ বেশি ক্ষতি করে। বীজ উৎপাদনের জন্য চাষ করলে পুষ্পমঞ্জরীকে জাব পোকার হাত থেকে রক্ষা করতে হবে। অন্যান্য পোকার মধ্যে ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকা ইত্যাদি মাঝে মাঝে ক্ষতি করে থাকে।


    মাথা খেকো লেদা পোকা আক্রান্ত কপি

    পোকা গাছের কচি পাতা, ডগা ও পাতা খেয়ে নষ্ট করে।

    দমন ব্যবস্থাঃ

    মাথা খেকো লেদা পোকা, সরুই পোকা বা ডায়মন্ড ব্যাক মথঃ

    ১. পোকার ডিম ও লেদা হাত দারা বাছাই করা।

    ২. ফুলকপি চাষের জমি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।


    ৩. দমনের জন্য ইন্ট্রাপিড ১০এসসি (ক্লোরফেনাপাইর) ০২মিলি/লিটার বা ডারসবান ২০েইসি (ক্লোরোপাইরিফস)  ০২মিলি/লিটার বা সুপারফাস্ট / নাইট্রো  ৫৫ ইসি (ক্লোরপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) ০২মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

    কাটুই পোকাঃ
    কাটুইপোকার কীড়া চারা গাছের গোড়া কেটে দেয়।
    দমন ব্যবস্থা
    ১. জমিতে সন্ধ্যার পর বিষটোপ ব্যবহার করতে হবে অর্থাৎ (১ কেজি চালের কুঁড়া বা গমের ভূসির সাথে ২০ গ্রাম সেভিন বা রিপকর্ড ১০ইসি নামক কীটনাশক পানি বা চিটাগুড়ের সাথে ব্যবহার)।

    ২. জমিতে চাষের সময় দানাদার কীটনাশক ব্যবহারকরতে হবে। যেমন- অপটিমাস (ক্লোথিয়ানিডিন) ২৮ কেজি/ হেক্টর অথবা ফুরাডান (কার্বোফুরান) ১০ কেজি/ হেক্টর দিতে হবে

    ৩. সুপারফাস্ট ৫৫ইসি/নাইট্রো (ক্লোরপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) ০২মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।



    জাব পোকাঃ 
    জাবপোকা গাছের পাতা ও কচি ডগার রস শুষে খায়।

    ১. জৈব বালাইনাশক ব্যবহার। যেমন- নিম পাতার রস, আতা গাছের পাতার রস, সাবানের গুড়া পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করা যায়।
    ২. আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত কীটনাশক দিতে হবে। পিমিডর/হেমিডর বা কনফিডর ৭০ডব্লিউজি (ইমিডাক্লোপ্রিড) ০২গ্রাম/১০লিটার পানি অথবা ০৩গ্রাম/১৬লিটার পানি বা নোভাস্টার ৫৬ইসি (বাইফেনথ্রিন+এবামেকটিন) ০২ মিলি/লিটার বা ইমিটাফ / এডমায়ার / গেইন ০.৫মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

    ক্রসোডলমিয়া লেদা পোকা, কালো ও হলুদ বিছা পোকা, ঘোড়া পোকাঃ

    রিপকর্ড ১০ইসি অথবা সুপারফাস্ট / নাইট্রো ৫৫ইসি (ক্লোরপাইরিফস+সাইপারমেথ্রিন) ০২মিলি/লিটার বা পদ্মা ল্যাম্বডা / ক্যারাটে / রীভা (ল্যাম্বডা সাইহ্যালোথ্রিন) ০১ মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

    সাদা মাছিঃ 
    নোভাস্টার ৫৬ইসি (বাইফেনথ্রিন+এবামেকটিন) ০২মিলি/লিটার বা কনফিডর / হেমিডর / পিমিডর ৭০ ডব্লিউজি ০.২গ্রাম/লিটার  পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

    ফুলকপির রোগ ব্যবস্থাপনাঃ
    চারা ধ্বসা বা ড্যাম্পিং অফ (ঢলে পড়া)

    লক্ষণঃ

    • আক্রান্ত চারার গোড়ার চারদিকে পানিভেজা দাগ দেখা যায় ।
    • ক্রমণের দুইদিনের মধ্যে চারা গাছটি ঢলে পড়ে ও আক্রান্ত অংশে তুলারমতো সাদামাইসেলিয়াম দেখা যায় ও অনেক সময় সরিষার মত ছত্রাকের অনুবীজ পাওয়া যায়।
    • শিকড় পচে যায়, চারা নেতিয়ে পড়ে গাছ মারা যায় ।
    • স্যাতস্যাতে মাটি ও মাটির উপরিভাগ শক্ত হলে রোগের প্রকোপ বাড়ে ।
    • রোগটি মাটিবাহিত বিধায় মাটি, আক্রান্ত চারা ও পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে ।
    • চারা টান দিলে সহজে মাটিথেকে উঠে আসে।


    দমন ব্যবস্থাঃ

    ১. পরিমিত সেচ ও পর্যাপ্ত জৈব সার প্রদান করা ও পানি নিস্কাশনের ভালো ব্যবস্থা রাখা।
    ২. সরিষার খৈল প্রতি হেক্ট্ররে ৩০০ কেজি হারে প্রয়োগ করতে হবে।

    ৩. প্রতি লিটার পানিতে ইপ্রোডিয়ন বা কার্বেন্ডাজিম গ্রুপের ছত্রাকনাশক যেমন: রোভরাল বা পিডিয়ন ২ গ্রাম অথবা অটোস্টিন বা ডিফেন্স ১ গ্রাম হারে মিশিয়ে স্প্রে করে মাটিসহ ভিজিয়ে দিতে হবে। অথবা

    ৪. প্রতি লিটার পানিতে কপার অক্সিকোরাইড ৪গ্রাম /১ লিটার পানি + স্ট্রেপ্টোমাইসিন ১ গ্রাম/১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৭ দিন পর পর ২ বার স্প্রে করতে হবে।

    ৫. ম্যানকোজেব + কার্বেণ্ডাজিম ( কম্প্যানিয়ন / ম্যানসার ) বা ম্যানকোজেব ( ইণ্ডোফিল / হেমেনকোজেব) ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে দিয়ে গাছের গোড়ায় স্প্রে করতে হবে।


    ৬. ডিফেন্স ৩৫এসসি (কার্বেন্ডাজিম+হেক্সাকোনাজল) বা কাসুমিন (কাসুগামাইসিন)  ০১মিলি/লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।


    পাতায় দাগ, আগা পোড়া ও কালো পঁচা রোগঃ- 



    লক্ষণঃ
    ১. ফুলকপির কার্ডে প্রথমে বাদামি রঙের গোলাকৃতি দাগ দেখা যায়। পরবর্তীতে একাধিক দাগ মিশে বড় দাগের সৃষ্টি করে।

    ২. ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে কার্ডে দ্রুত পচন ধরে নষ্ট হয়ে যায়।
    ৩. আক্রান্ত কার্ড বা মাথা থেকে খুব কম পুষ্পমঞ্জরি বের হয়। ফলে এটি খাওয়ার অযোগ্য হয়ে যায়।

    প্রতিকারঃ
    ১. সুস্থ গাছ থেকে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।



    ২. বীজ বপনের আগে প্রোভ্যাক্স বা কার্বেনডাজিম বা নইন প্রতি কেজি বীজে ২ গ্রাম হারে দিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।


    ৩. ইপ্রোডিয়ন এবং কার্বেনডাজিম ছত্রাকনাশক প্রতিটি পৃথক পৃথকভাবে ০.২% হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর স্প্রে করতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে,ওষুধ প্রয়োগের ৫ দিন পর পর্যন্ত ফসল তোলা যাবে না।


    ৪. একরোবেট এমজেড (ম্যানকোজেব+ডাইমেথোমরফ) প্রতি লিটার পানিতে ০৪ গ্রাম বা হেডলাইন টিম (পাইরাক্লস্ট্রাবিন+ডাইমেথোমরফ) প্রতি লিটার পানিতে ২.৫০ গ্রাম এবং ডিফেন্স ৩৫ এসসি অথবা কোগার ২৮এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০১মিলি মিশিয়ে পর্যাক্রমে স্প্রে করতে হবে ৷


    অল্টারনারিয়া স্পট বা ব্লাইট বা পাতায় দাগ রোগঃ



    লক্ষণঃ

    ১. অল্টারনারিয়া ব্রাসিসিকোলা নামক ছত্রাক দ্বারা এই রোগ হতে থাকে।

    ২. চারা অবস্থায় এই রোগের আক্রমণ হলে চারা গাছ খাটো হয়ে যায় বা মরে যায়।

    ৩. চারা রোপণের পর গাছ আক্রন্ত হলে পাতায় প্রথমে আলপিনের মাথার মতো বিন্দু বিন্দু বাদামি রঙের দাগ পরে।

    ৪. পরবর্তীতে দাগগুলো বড় হতে হতে ৫ সেমি ব্যাস পর্যন্ত হলদে রং ধারণ করে পরে ধীরে ধীরে দাগগলো গোলাকার চাক চাক বাদামি রঙের দাগে পরিণত হয়।



    প্রতিকারঃ

    ১. রোগমুক্ত বীজ ব্যবহার করতে হবে।

    ২. বীজ বপনের আগে কার্বেনডাজিম প্রতি কেজি বীজে ২ গ্রাম হারে দিতে বীজ শোধন করতে হবে।

    ৩. সুষম সার প্রয়োগ করতে হবে।

    ৪. রোগের আক্রমণ বেশি হলে অনুমোদিত মাত্রায় ছত্রাকনাশক ব্যবহার করতে হবে। যেমন- একরোবেট এমজেড (ম্যানকোজেব+ডাইমেথোমরফ) প্রতি লিটার পানিতে ০৪ গ্রাম বা হেডলাইন টিম (পাইরাক্লস্ট্রাবিন+ডাইমেথোমরফ) প্রতি লিটার পানিতে ২.৫০ গ্রাম এবং ডিফেন্স ৩৫ এসসি অথবা কোগার ২৮এসসি প্রতি লিটার পানিতে ০১মিলি মিশিয়ে পর্যাক্রমে স্প্রে করতে হবে ৷

    বোরনের অভাবে ফুলে বাদামী দাগ পড়ে ও কান্ড ফাঁপা হয়ে যায়ঃ 
    ফলিয়ারেল বোরন দিয়ে স্প্রে করতে হবে।

    ফুলকপির ফুল রোদে উন্মোচিত হলে তার বর্ণ হলুদাভ হয়ে যায়৷ এতে স্বাদ কমে না কিন্তু আকর্ষণীয়তা কমে যায়৷ ফুলকপির রং ধবধবে সাদা রাখার জন্য কচি অবস্থা থেকে চারপাশের কয়েকটি পাতা বেঁধে ফুল ঢেকে দিতে হয়।

    ফসল তোলা ও ফলন
    সাদা রঙ ও আঁটো সাঁটো থাকতে থাকতেই ফুলকপি তুলে ফেলা উচিত। মাথা ঢিলা ও রঙ হলদে ভাব ধরলে দাম কমে যায়। একর প্রতি ফলন ১৫-২৫ টন, হেক্টরে ৩৫-৬০ টন।

    No comments